শারদীয় দুর্গাপূজা ছুটিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস কার্যত বন্ধ থাকলেও থেমে নেই ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রচারণা।
বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু) নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন হল ও ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক কার্যক্রমে তারা সক্রিয় থেকে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছেন। রাকসু নির্বাচনের পিছিয়ে আগামী ১৬ অক্টোবর করা হলেও এখন থেকেই প্রচারণার মাঠে নেমেছে ছাত্রদল।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিনোদপুর এলাকার মেসগুলোতে লিফলেট ও কুশল বিনিময় করতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। এসময় ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীদের হয়ে ভোট চাইতে দেখা যায় তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের মেসগুলোতে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রচারণা করছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ক্যাম্পাস বন্ধ হলেও এখনো যারা হল ও মেসগুলোতে অবস্থান করছেন তাদের কাছে ভোট চাইতে দেখা যায় তাদেরকে। রাকসু নির্বাচন পর্যন্ত এমন প্রচারণা চলবে বলে জানান তারা।
বিনোদপুর সংলগ্ন মন্ডলের মোড়ের একটি মেসে নেতাকর্মীদের নিয়ে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীদের জন্য প্রচারণা করতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগকে। এসময় তিনি জানান, ক্যাম্পাস ছুটির ঘোষণার পর থেকেই শিক্ষার্থী বাসায় যাচ্ছেন। যারা এখনো হলগুলোতে অবস্থান করছেন তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি এবং ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইছি। যেখানেই যাচ্ছি শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে সাদরে গ্রহণ করছেন এবং ইতিবাচক প্রত্যাশা দিচ্ছেন। জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী। রাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা ছাত্রদল প্যানেলকে তাদের পছন্দের তালিকায় রাখবেন বলে আমি আশাবাদী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল মনোনীত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবির বলেন, ক্যাম্পাস ছুটি হয়েছে ঠিক কিন্তু সামনে বিসিএস পরীক্ষা রয়েছে। এছাড়াও অনেকেট অ্যাকাডেমিক পরীক্ষা থাকার কারণেও রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। তাদের খোঁজ খবর নিতে আমরা মেসগুলোতে যাচ্ছি, তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনছি, কুশল বিনিময় করছি এবং তাদের দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছি। আশাকরি শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের প্রার্থীদের মূল্যায়ন করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের সংগঠন। অতীতেও আমরা ক্যাম্পাস বন্ধের সময় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিয়েছি এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। আর বর্তমানে রাকসু নির্বাচন চলমান থাকায় আমাদের পদপ্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা সবসময় শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছে।”
উল্লেখ্য: পোষ্য কোটা ইস্যুতে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘোষিত 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি।ফলে রাকসু নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে
২০ দিন পিছিয়ে আগামী ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন রাকসু নির্বাচন কমিশন।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: