তারা কোনো যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও সার্ভিসিং না করায় এতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে অকেজো হয়ে পড়ায় ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বন্ধ হয়ে গেছে তৃতীয় ইউনিট। এর আগেই বন্ধ ছিল দু’টি ইউনিট। এখন পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া তৃতীয় ইউনিটটি ৩০০ মেগাওয়াটের ছিল। তৃতীয় ইউনিটটি থেকে ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এরমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২০ সাল থেকে সার্ভিস না করায় বন্ধ রয়েছে। যার উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১২৫ মেগাওয়াট।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক নম্বর ইউনিটটি দু’এক দিনের মধ্যে চালু করা হবে। এটি আবার চালু হলে ৬০ থেকে ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
এ বিষয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি আবু বকর সিদ্দিক জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনালের সাথে কয়লা উৎপাদনের বিষয়ে চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী এর মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২০২৫ সালে। চুক্তি শেষ হওয়া পর্যন্ত সব সার্ভিসের দায়িত্ব ছিল তাদের। যন্ত্রাংশ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কেন্দ্রটি উৎপাদনে যেতে পারছে না ২০২০ সাল থেকেই। এরপরও তারা কোনো যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও সার্ভিসিং না করায় এতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে অকেজো হয়ে পড়ায় ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, তৃতীয় ইউনিট থেকে বর্তমানে ১৯০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার ৩০০ টন কয়লা লাগে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: