দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট প্রদান করছেন।
সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিচ্ছেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরাও নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, “সকাল সকাল ভোট দিয়েছি। কোনো অনিয়ম দেখিনি। কেন্দ্রের সবাই সহযোগিতাপূর্ণ। আশা করি যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।”
অন্য এক শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম বলেন, “আমরা পাঁচ বন্ধু একসঙ্গে ভোট দিতে এসেছি। এখন পর্যন্ত ভোট শান্তিপূর্ণভাবে চলছে, আশা করি এভাবেই শেষ হবে।”
রাকসু নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিষদের সদস্য কাউছার আলী জানান, সকাল থেকে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “কালি উঠে যাওয়ার বিষয়ে কমিশনকে জানিয়েছি। শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কালি লাগানোর পর অন্তত এক মিনিট হাত না দেওয়ার জন্য।”
এ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী এক বছরের জন্য গঠিত হবে ২৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংসদ এবং ১৭টি হলের ১৫ সদস্যবিশিষ্ট সংসদ। এছাড়া সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করা হবে পাঁচজনকে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার ৭২ বছরে এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে মাত্র ১৬ বার, যার মধ্যে ১০ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তান আমলে।
এবার রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৩টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ২৪৭ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলে ২৫৫টি পদের জন্য লড়ছেন মোট ৬০১ জন প্রার্থী—এর মধ্যে ছেলেদের ১১টি হলে ৪৬০ জন এবং মেয়েদের ৬টি হলে ১৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ জানিয়েছেন, নয়টি ভবনে ভোটগ্রহণ শেষে সব ব্যালট বাক্স নেওয়া হবে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ফলাফল প্রকাশে আনুমানিক ১৭ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: