নোয়াখালীতে একটি মসজিদে ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত কোরআন ক্লাসে হামলার প্রতিবাদে আজ বিকেলে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী মহানগর শাখা ছাত্রশিবির এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
প্রথমে নগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে মনিচত্বর হয়ে রাজশাহী কলেজের সামনে দিয়ে কুমারপাড়া ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জিরোপয়েন্টে ফিরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহা. শামীম উদ্দিন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসু’র নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারি ইমরান নাজির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল, রাজশাহী জেলা পূর্ব শাখার রুবেল আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পশ্চিম শাখার সভাপতি সালাউদ্দিন সোহাগ এবং মহানগর শাখার অফিস সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
ভাষণে মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “ছাত্রদল ও বিএনপি সরাসরি কোরআনের ওপর হামলা চালিয়েছে, যা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এর পরিণতি ভালো হবে না।” তিনি আরও বলেন, “তোমরা একটা বন্ধ করবে, আমরা হাজারটা চালু করব—ইনশা আল্লাহ। তোমরা আমাদের ওপর হামলা করে মনে করো আমরা দুর্বল; কিন্তু আমরা বিশৃঙ্খলা চাইনি, এবং ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে তারা আমাদের সঙ্গে আছে।”
রাজশাহী মহানগরীর সভাপতি মোহা. শামীম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদেরকে ছাত্রদলের বিপক্ষে মাঠে নামতে হয়েছে—এটা তো কথা ছিল না। আগে চাঁদাবাজি করত ছাত্রলীগ, এখন করছে ছাত্রদল। টেম্পো স্ট্যান্ড, বাজার দখল—সব দখল করছে তারা।” বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, “সাবধান হয়ে যান—তোমরা মৌচাকে ঢিল মেরেছো, মৌমাছি উড়লে সামলাতে পারবে না। ১৬ বছরে একটা ট্রাক সরাতে পারোনি, কত ক্ষমতা দেখা আছে।”
সমাবেশে নেতারা নোয়াখালীর কোরআন ক্লাসে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান এবং দেশের সকল উপশাখায় কোরআন ক্লাস সম্প্রসারণের ঘোষণা করেন। তারা বলেন, ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে তাদের প্রতিহত করা যাবে না—“ছাত্রশিবির মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে।”
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: