বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা থেকে পিছু হটা যাবে না, যদিও এখানে নানান সমস্যা রয়েছে। তারপরেও সৎ সাংবাদিকতা করতে হবে বলে মন্তব্য রাজশাহীর বিশিষ্টজনদের। এছাড়া ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল সাংবাদিককে এক ব্যানারে আসার অনুরোধও জানিয়েছেন তারা।
দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। রাজশাহী ব্যুরো অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠনে সাংবাদিক, রাজনৈতিক, সামিজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকতে।
কালের কণ্ঠের স্টাফ ও রাজশাহী ব্যুরো প্রধান সাদিকুল ইসলাম স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক এ্যাড.এরশাদ আলী ঈশা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মাহানগীর আমীর মাওলানা ড. কেরামত আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্টার প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, ডক্টর এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) রাজশাহী জেলা সভাপতি ডা. ওয়াসিম হোসেন, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) রাজশাহী জেলা সেক্রেটারি ডা. মুর্শেদ জামান মিঞা, হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী, রাজশাজী সাংবাদিক সমিতির চেয়ারম্যান হাসান মিল্লাত, ভাইস চেয়ারম্যান সরদার আবদুর রহমান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল আওয়াল, এডিটরস ফোরামের সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব অপু, বিশিষ্ট কথা শিল্পী ও সাংবাদিক ডা. নাজিব ওয়াদুদ। রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু, সাধারণ সম্পাদক শাহ সূফি মহিব্বুল আরেফিন। রাবির সমস্বয়ক মেহেদী সজিব,রাশেদ রাজন, আব্দুর রহিম, রাবি প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী মনির হোসেন মাহিন, রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুল হাকিম। কালের কণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরোতে কর্মরত বিভিন্ন উপজেলা প্রতিনিধিগণও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীগণ, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সুধিজন।
কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির ড. কেরামত আলী বলেন, তোষামোদির উর্ধ্বে স্বাধীনচেতা চিন্তা কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য আপনাদের জেল খাটা লাগতে পারে, জুলুমের শিকার হওয়া লাগতে পারে। তবু বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা থেকে পিছু হটা যাবে না।
অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা বলেন, আগে আওয়ামী লীগ লুটপাট ও দখলদারি করেছে। কিন্তু এখন কারা দখলদারি করছে, আপনাদের প্রকৃত ঘটনা বলতে হবে। সাংবাদিকদের বলতে হবে সত্য কথা। কিন্তু এখনো বলতে পারছেন না। আপনারাই সমাজকে ভাল করতে পারবেন। আপনারা লিখবেন, যেই দলের হোক, তারা ভয় করবে। লেখনীর মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন হবে।
ড্যাব নেতা ডা. ওয়াসিম হোসেন বলেন, সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। আপনারা একতাবদ্ধ হন, না হলে কিছু করা যাবে না। এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ছাত্ররা দেশের পরিবর্তন করেছে, আসলে মনের পরিবর্তন না হলে হবে না। আগে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
এ সময় নদী গবেষক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, আমাদের সাংবাদিকরা কেমন জানি দ্বিধাবিভক্ত। সবাইকে অনুরোধ করবো, এক ব্যানারে আসেন।
পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
আলোকিত গৌড়/জে.আর
মন্তব্য করুন: