দেশের পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করে গঠিত নতুন রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত লাইসেন্স পেয়েছে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন ব্যাংকটির নামে লাইসেন্স ইস্যুর সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংককে একীভূত করে দেশের সবচেয়ে বড় মূলধনী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। নতুন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
নতুন ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার ইতোমধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে জমা দিয়েছে। সরকারের অর্থায়নেই এটি একটি পূর্ণরাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংক হিসেবে গড়ে উঠছে।
এর আগে ৫ নভেম্বর ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী পাঁচ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ৯ নভেম্বর নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনাপত্তিপত্র (NOC) ও লেটার অব ইনটেন্ট ইস্যু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। শর্তপূরণ শেষে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’ যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক দপ্তরে (আরজেএসসি) নিবন্ধিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, জবাবদিহিতা ও আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতােই আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
অমানতের নিরাপত্তা বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিপোজিট সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুসারে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং একীভূতকরণ শেষ হওয়ার পর তা দ্রুত পরিশোধ করা হবে। ২ লাখ টাকার বেশি আমানতের জন্য পরিশোধের স্কিম শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, নতুনভাবে যাত্রা শুরু করা ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নিবিড় তত্ত্বাবধানে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বে পরিচালিত হয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই একটি গতিশীল, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকে পরিণত হবে।
আলোকিত গৌড়/জে.আর
মন্তব্য করুন: