সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুই ধাপে আবেদন করা প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ জানুয়ারি দেশের সব জেলায় এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে পার্বত্য তিন জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান এ পরীক্ষার বাইরে থাকবে।
এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুই ধাপে মোট ১৪ হাজার ৩৮৫টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৮০টি। ফলে প্রতিটি পদের বিপরীতে গড়ে প্রায় ৭৫ জন প্রার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।
নিয়োগ পরীক্ষাকে সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৯টার মধ্যে নিজ নিজ পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫১১-৬৬২২৬৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড সংক্রান্ত এসএমএস পাঠানো হবে। এছাড়া আগামী ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে admit.dpe.gov.bd ওয়েবসাইটে Username ও Password ব্যবহার করে অথবা এসএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড ও পাসের সাল দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট সংগ্রহ করা যাবে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি (স্মার্টকার্ড/এনআইডি) বহন করা বাধ্যতামূলক। ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশনাসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রবেশপত্রেই উল্লেখ থাকবে।
অধিদপ্তর আরও জানায়, পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন, বই, নোট, উত্তরপত্র, কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, পার্স, ভ্যানিটি ব্যাগ, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক ঘড়ি এবং যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক বা যোগাযোগ ডিভাইস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ এসব সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া অসাধু ব্যক্তিদের প্রতারণার ফাঁদে না পড়তে চাকরিপ্রার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য ১০ হাজার ২১৯টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি। দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ হাজার ১৬৬টি শূন্য পদের জন্য আবেদন করেছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ১৫১ জন প্রার্থী।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: