[email protected] রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

যে ভিটামিন ও খনিজের অভাবে শরীরে অতিরিক্ত শীত লাগে!

মোঃ মিজানুর রহমান

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:২৫

প্রতিকি ছবি

শীতকাল এলে অনেকেই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঠান্ডা অনুভব করেন। পাতলা গড়ন, কম শরীরের চর্বি কিংবা আবহাওয়ার প্রভাব থাকলেও চিকিৎসা গবেষণায় দেখা যায়, নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন, খনিজ এবং হরমোনের ঘাটতি শরীরকে ঠান্ডার প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সবার আগে নজর দিতে হয় ভিটামিন বি-১২ এর দিকে। এই ভিটামিনের ঘাটতি লাল রক্তকণিকা তৈরিতে বাধা দেয়, ফলে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। রক্তে অক্সিজেন কম বহন হলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে। হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে আসে, পুরো শরীরেই শীত বেশি লাগে।

এছাড়া ফোলেট (ভিটামিন বি–৯) স্বল্পতাও একইভাবে রক্তস্বল্পতার কারণ হতে পারে। বি-১২ এবং ফোলেট দুইটির ঘাটতি মিলেই শীত বেশি লাগার সবচেয়ে সাধারণ ভিটামিনজনিত কারণ হিসেবে চিকিৎসকেরা উল্লেখ করেন।

শরীরে আয়রন কমে গেলেও ঠান্ডা অনুভূতি বাড়তে পারে। এটি ভিটামিন না হলেও হিমোগ্লোবিন তৈরিতে অপরিহার্য। আয়রনের অভাবে অক্সিজেন পরিবহন কমে যাওয়ায় শরীর দ্রুত ঠান্ডা হয়ে পড়ে এবং ক্লান্তি বাড়ে।

তবে শুধু ভিটামিন ও খনিজ নয়, "হাইপোথাইরয়েডিজম" অর্থাৎ থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি অতিরিক্ত শীত লাগার সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসাগত কারণগুলোর মধ্যে একটি। থাইরয়েড কম সক্রিয় হলে শরীরের বিপাক হার কমে যায়, ফলে সামান্য ঠান্ডাতেও শরীর জমে আসে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, যদি দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিকভাবে শীত লাগা, হাত-পা ঠান্ডা থাকা, ত্বক ফ্যাকাশে হওয়া, চুল পড়া বা অতিরিক্ত ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি। সঠিক কারণ শনাক্ত করতে পারলে ওষুধ, সাপ্লিমেন্ট এবং খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে দ্রুত উন্নতি সম্ভব।

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর