স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রয়োজন সঠিক জীবনযাপন এবং ভালো অভ্যাস তৈরি করা। তবে অজান্তেই অনেকেই এমন কিছু অভ্যাস অনুসরণ করেন, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকদের মতে, এসব অভ্যাস চলমান থাকলে সময়ের সঙ্গে বাড়তে পারে নানা শারীরিক জটিলতা।
নিম্নে বিশেষজ্ঞদের সতর্ক করা এমন কয়েকটি ক্ষতিকর অভ্যাস তুলে ধরা হলো—
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়। পাশাপাশি মানসিক চাপ, ক্লান্তি, মাথাব্যথা ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
দীর্ঘসময় বসে থাকা
ঘণ্টার পর ঘণ্টা একইভাবে বসে থাকলে রক্তসঞ্চালন কমে যায় এবং ওজন বাড়তে থাকে। এতে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞরা প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ৫–১০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেন।
অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড গ্রহণ
তেলে ভাজা বা প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি পানীয় ও উচ্চ ক্যালরি খাবার কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ও হজমের সমস্যা তৈরি করে। নিয়মিত এসব খাবার ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
পানি কম পান করা
পর্যাপ্ত পানি না খেলে ডিহাইড্রেশন, মাথা ঘোরা, কিডনির সমস্যা ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে প্রতিদিন যথেষ্ট পানি পান করা জরুরি।
মানসিক চাপ জমিয়ে রাখা
নিয়মিত মানসিক চাপ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, উদ্বেগ ও হজমের সমস্যা বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—প্রতিদিন কিছু সময় নিজেকে আরাম দেওয়ার জন্য রাখা উচিত।
শরীরচর্চার অভাব
ব্যায়াম ছাড়া জীবনযাপন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও জয়েন্টের ব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়। সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট হাঁটা বা হালকা–মধ্যম ব্যায়াম করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন
ধূমপান ও অ্যালকোহল শরীরের ফুসফুস, লিভার ও হৃদযন্ত্রসহ প্রায় সব অঙ্গের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ফলে ক্যানসারসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস
বিশেষ করে সকালে নাশতা না করলে রক্তের শর্করা কমে যায় এবং শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়। এতে পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভুল অভ্যাস থেকে দূরে থাকলে দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ জীবনযাপন অনেক সহজ হয়ে ওঠে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: