[email protected] বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

সকালের নাস্তার জন্য সেরা ১০টি স্বাস্থ্যকর খাবার


প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৫

সকালের নাস্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার, যা আপনাকে সারাদিনের জন্য শক্তি এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। সকালের নাস্তা বেশি পরিমাণে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে এবং সারাদিন ধরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর এবং ভারী নাস্তা খেলে মস্তিষ্ক পুরোদিনের জন্য তৈরি হয়ে যায় এবং সারাদিন শক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু সব ভারী খাবারই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই সকালের নাস্তা আমাদের শরীরের জ

স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা আপনাকে সতেজ এবং মনোযোগী রাখতে সাহায্য করে এবং আপনাকে ওজন কমাতেও সহায়তা করতে পারে। তাই আমাদের জানতে হবে সকালের নাস্তায় কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত এবং কোনগুলো খাওয়া উচিত নয়।

এখানে সকালের নাস্তার জন্য সেরা দশটি স্বাস্থ্যকর খাবারের নাম দেওয়া হল:

সকালের নাস্তার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার
১. ফল: ফল সকালের নাস্তার জন্য সব চাইতে ভালো খাবার হচ্ছে ফলমূল। কলা, আপেল, কমলা, আঙুর ইত্যাদি ধরণের ফলমূল অথবা মৌসুমি ফলমূল দিয়ে সকালের নাস্তা করা সব চাইতে ভালো। ২টি কলা, ১টি আপেল, ১টি কমলা, ২/৩টি স্ট্রবেরি এভাবে শুধুমাত্র ফল দিয়ে নাস্তা করা সকালের জন্য ভালো। চাইলে ফলমূল দিয়ে সালাদের মত তৈরি করেও খেতে পারেন।

২. ওটমিল: ওটমিল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর সকালের নাস্তা। এটি ফাইবার, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ওটমিল তৈরি করতে, আপনি পানি, দুধ বা দুধের বিকল্প ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এতে ফল, বাদাম বা বীজ যোগ করতে পারেন। ওজন কমাতে এবং কলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটসের জুড়ি নেই। তবে কোন ফ্লেভারড বা চিনিযুক্ত ওটমিল খাবেন না। চিনির পরিবর্তে মধু এবং সাথে কিছু ফলমূল যোগ করে নিতে পারেন।

৩. শাকসবজি: শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের আরেকটি দুর্দান্ত উৎস। সকালের নাস্তায় শাকসবজি খেলে আপনি আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারেন। আপনি শাকসবজি দিয়ে সালাদ, স্যান্ডউইচ বা ওমলেট তৈরি করতে পারেন।

৪. ডিম: ডিমকে বলা হয় 'সুপারফুড'। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। এতে ক্যালোরিও থাকে বেশ কম। সকালের নাস্তায় অবশ্যই প্রত্যেকের ডিম খাওয়া উচিৎ। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ হিসেবে সকালে ২ টি ডিম খেলেই যথেষ্ট। তবে যারা একটু বেশি স্বাস্থ্যবান তাদের ডিমের কুসুম এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। সকালে ডিম সেদ্ধ বা ডিমের অমলেট দিয়ে নাস্তা সারতে পারেন।

৫. আটার রুটি: সকালের নাস্তার জন্য বেশ ভালো একটি খাবার হচ্ছে আটার রুটি। বিশেষ করে যারা ভারী খাবার পছন্দ করেন। সকালে পাউরুটি বা ভাত খাবার চাইতে আটার রুটি সবজি ভাজি বা ডিম অথবা ঝোলের তরকারি কিংবা কলা দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। এছাড়া রুটি বেশ ভালো এনার্জি সরবরাহ করে আমাদের দেহে যা পুরো দিনই রাখবে সতেজ। তবে অবশ্যই তেলে ভাজা পরটা থেকে দূরে থাকবেন।

৬. বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজ প্রোটিন, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টির একটি দুর্দান্ত উৎস। সকালের নাস্তায় বাদাম এবং বীজ খেলে আপনি আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারেন। আপনি বাদাম এবং বীজ খাওয়ার পাশাপাশি এগুলি দিয়ে সালাদ, স্মুদি বা ওটমিল তৈরি করতে পারেন।

৭. খিচুড়ি: অনেকেরই সকালে ভাত খাওয়ার অভ্যাস। তারা ভাতের বদলে সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন খিচুড়ি। তবে অবশ্যই সবজি খিচুড়ি। চালের পরিমাণ কমিয়ে বেশি পরিমাণে সবজি দিয়ে রান্না করা সবজি খিচুড়ি দিয়ে সেরে নিতে পারেন সকালের নাস্তা। এতে করে ভারী নাস্তা করা হলেও দেহে পৌঁছাবে পর্যাপ্ত পুষ্টি।

৮. ইয়োগার্ট: ইয়োগার্ট বা দই দিয়ে দিনের শুরুটা হোক অনেকেই তা চান না। কিন্তু দই দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী একটি খাবার। ইয়োগার্ট প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টির একটি দুর্দান্ত উৎস। সকালের নাস্তায় ইয়োগার্ট খেলে আপনি আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারেন। আপনি ইয়োগার্ট খাওয়ার পাশাপাশি এতে ফল, বাদাম বা বীজ যোগ করতে পারেন। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের গঠনে কাজ করে। দিনের শুরু দই দিয়ে করলে পুরো দিন আপনার দেহে থাকবে অফুরন্ত এনার্জি। ক্লান্তি স্পর্শ করবে না দিনের শেষেও। সুতরাং সকালের নাস্তায় কিছু ফলমূলের পাশাপাশি রাখুন দই।

৯. টোস্ট: টোস্ট একটি দ্রুত এবং সহজ সকালের নাস্তা। এটি ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টির একটি দুর্দান্ত উৎস হতে পারে। টোস্ট তৈরি করতে, আপনি পুরো শস্যের রুটি ব্যবহার করতে পারেন এবং এতে ফল, বাদাম বা বীজ যোগ করতে পারেন।

১০. গ্রিন টি: গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টির একটি দুর্দান্ত উৎস। সকালের নাস্তায় গ্রিন টি পান করলে আপনি আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারেন।

আপনার জন্য সেরা সকালের নাস্তা আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে আপনি কম ক্যালোরিযুক্ত এবং ফাইবারযুক্ত খাবার বেছে নিতে পারেন। আপনি যদি আপনার শরীরের প্রোটিন গ্রহণ বাড়াতে চান তবে আপনি ডিম, বাদাম বা বীজের মতো খাবার বেছে নিতে পারেন।

এখানে কিছু টিপস রয়েছে যা আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে:

কম চর্বিযুক্ত বা চর্বিমুক্ত দুধ বা দুধের বিকল্প ব্যবহার করুন।
ফল, বাদাম বা বীজ যোগ করুন।
চিনি সংযোজনগুলি এড়িয়ে চলুন।
একটি স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন এবং সারাদিন শক্তি এবং পুষ্টি পান।

ইই

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর