মার্কিন মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে

পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকার মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর প্রথম দফায় ১০ মে দুই পক্ষের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালকদের (ডিজিএমও) মধ্যে হটলাইনে আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১২ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে ১২ মে ও ১৪ মে অনুষ্ঠিত আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ পর্যায়ক্রমে ১৪ মে ও ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।”

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়। হামলার জন্য ভারত শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। তবে পাকিস্তান হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য যৌথ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

তারপরও ভারত পাকিস্তানবিরোধী বিভিন্ন কূটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপ নেয়। এর জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ফলে দুই দেশের মধ্যে হুমকি-ধমকি এবং পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা সংঘাতে রূপ নেয়।

গত ৬ মে মধ্যরাতে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরপর ১০ মে ভোরে আবারও পাকিস্তানের একটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভারত।

এর পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ নামে ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ব্যবহৃত হয় ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র।

উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ১০ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানান, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে দুই দেশের সামরিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে এবং যুদ্ধবিরতির সময়সীমা ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছে।