ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কায় রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরের মেট্রো স্টেশন ও মসজিদগুলোকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে ইরান সরকার। দেশটির সরকারি টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি জানান, “আজ রাত থেকেই এসব স্থাপনা সাধারণ জনগণের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে উন্মুক্ত থাকবে, বিশেষ করে বোমা হামলা থেকে রক্ষার জন্য।”
এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হচ্ছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ আরও ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কা করছে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশব্যাপী আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলের বিমান হামলায় তেহরানে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
অন্যদিকে ইরানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী দিনে ইরান থেকে আরও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আসতে পারে।
এক সংবাদ সম্মেলনে আইডিএফ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, “চ্যালেঞ্জিং দিন সামনে আসছে। আগামী দিনগুলোতে আরও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে। “এই মুহূর্তেও আমরা তেহরানে ডজনেরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছি। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সামরিক সক্ষমতার ওপর আঘাত বাড়াচ্ছি, যাতে আমাদের ঘরোয়া ফ্রন্টে ঝুঁকি কমানো যায়।”
পরিস্থিতি ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক মহল সংঘাত বন্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উভয় পক্ষের সামরিক অভিযান ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: