ইসরায়েলের চলমান হামলার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ধরনের সম্পৃক্ততা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। শনিবার (২১ জুন) ইস্তাম্বুলে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) আয়োজিত জরুরি বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময়ে এলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য দুই সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আলোচনায় অগ্রগতি না হলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সামরিক হামলা চালানোর ঝুঁকি রয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, তারা ইরানের একটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে তিনজন শীর্ষস্থানীয় ইরানি সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
ওআইসি বৈঠকে আরাঘচি অভিযোগ করেন, “প্রথম দিন থেকেই এই আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে জড়িত।” তিনি জানান, ইসরায়েল শুরুতে ইরানের সামরিক স্থাপনা ও পরমাণু কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করলেও এখন এটি নয় দিনব্যাপী পূর্ণমাত্রার পাল্টাপাল্টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পরিণত হয়েছে।
সংঘাত নিরসনে আলোচনার পথ এখনও খোলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। “আমরা এখনো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে প্রস্তুত,” বলেন আরাঘচি।
এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ওআইসি সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তীব্রভাবে সমালোচনা করে বলেন, “নেতানিয়াহুর জায়নবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আমাদের অঞ্চল এবং গোটা বিশ্বকে একটি ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া।”
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এখনো সরাসরি সামরিকভাবে জড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন।
সূত্র: পলিটিকো
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: