ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাঘচি। তিনি এই হামলাকে ‘গর্হিত’ এবং আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে আরাঘচি বলেন, “এই ঘটনাগুলো ভয়াবহ এবং এর পরিণতি চিরস্থায়ী হবে। জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে এই বিপদজনক, অবৈধ এবং অপরাধমূলক আচরণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ইরান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সব ধরনের বিকল্প প্রস্তুত রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হয়েও সনদের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, “ইরানের তিনটি পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “হয় শান্তি আসবে, নয়তো আরও ভয়াবহ পরিণতি ঘটবে। এখনও অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি আছে।”
তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা নিউজ দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় যে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, সেগুলোতে কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছিল না।
হামলার জবাবে ইরান থেকে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (IDF)।
তাদের দাবি, ইরান থেকে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে। তেল আবিবে বিমান হামলার সাইরেন বাজে এবং জেরুজালেমে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এসব হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কবার্তা পাওয়ার পরপরই ইসরায়েল তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: