পাকিস্তানে টানা বর্ষণ ও ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪৪ জন। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, যেখানে অন্তত ৫০২ জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন ২১৮ জন।
এ ছাড়া—
পাঞ্জাবে ২২৩ জন নিহত, আহত ৬৫৪ জন
সিন্ধুতে ৫৮ জন নিহত
বেলুচিস্তানে ২৬ জন নিহত
গিলগিট-বালতিস্তানে ৪১ জন নিহত
আজাদ কাশ্মীরে ৩৮ জন নিহত
ইসলামাবাদে প্রাণ গেছে ৯ জনের
ঘরবাড়ি-গবাদিপশু ক্ষতিগ্রস্ত
দুর্যোগে সারা দেশে অন্তত ৭ হাজার ৮৪৮টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৬ হাজার ১৮০টি গবাদিপশু।
সিন্ধুর তথ্যমন্ত্রী শরজিল ইনাম মেমন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পানি কমলেও দুর্ভোগ অব্যাহত
শতদ্রু নদীতে গণ্ডা সিং ওয়ালার কাছে পানির স্তর কিছুটা কমেছে। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তাদের ঘরবাড়ি ও ফসল এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। পাঞ্জাবের ভিখি উইন্ড গ্রামে আটকা পড়া ছয়জনকে উদ্ধারকর্মীরা নৌকা দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। স্থানীয় দাতব্য সংগঠনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ সহায়তা
পাকিস্তানের বন্যার্তদের জন্য ছয়টি ত্রাণবাহী ফ্লাইট পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে তাঁবু, পানি পরিশোধন যন্ত্র, জেনারেটরসহ জরুরি সামগ্রী রয়েছে। প্রথম ফ্লাইট ইতোমধ্যে পাকিস্তানে পৌঁছেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ও ইউএস আর্কেন্টের কমান্ডার আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করেন।
ত্রাণ পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে পাকিস্তান।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: