ইসরায়েলি সেনাদের ভয়াবহ হামলার মুখে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা সিটির হাজারো বাসিন্দা প্রাণ বাঁচাতে শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন। জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন এ হামলাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এর তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। খবর—আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছরের মধ্যে গাজা সিটির ওপর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। লাগাতার বোমা ও গুলিবর্ষণে সাধারণ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণ দিকে ছুটছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, হয়তো আর কখনো নিজ শহরে ফিরতে পারবেন না। শুরুতে বহু বাসিন্দা যুদ্ধ উপেক্ষা করে গাজায় থেকে গিয়েছিলেন, তবে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা জোরালো করার পর একের পর এক আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে পড়ছে।
শুধু গতকাল মঙ্গলবারের হামলায় অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে ১৭টি আবাসিক ভবন। আল-রাশিদ সড়ক ধরে পালানো শরণার্থীদের গাড়িও বোমা হামলার শিকার হয়।
এছাড়া ইসরায়েলি সেনারা বিস্ফোরক বোঝাই রোবট ব্যবহার করছে, যা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ জানিয়েছে। ইউরো-মেড মনিটর জানায়, এ মাসের শুরুতে ২০টি করে বাড়ি ধ্বংসে সক্ষম এমন অন্তত ১৫টি রোবট গাজায় মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।
যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপে ফিরে বসবাস শুরু করেছিলেন। তবে বর্তমানে শহরে কত মানুষ রয়েছেন তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাদের দাবি—৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ গাজা সিটি ছেড়েছেন। অপরদিকে গাজার সরকারি সূত্র বলছে, শহরের কেন্দ্র ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হলেও তাদের মধ্যে ১ লাখ ৯০ হাজার পুরোপুরি শহর ছেড়ে গেছেন এবং প্রায় ১৫ হাজার আবার ফিরে এসেছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন জানিয়েছেন, গাজা সিটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে তাদের আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: