সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে জনবহুল ও ব্যস্ততম শহর দুবাই এখন বিশ্বের ধনীদের প্রধান গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। সুইস আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউবিএস-এর সদ্য প্রকাশিত ‘বিলিয়নেয়ার অ্যামবিশন্স রিপোর্ট ২০২৫’–এ উঠে এসেছে এই তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক সম্পদ রেকর্ড ১৫.৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ধনীদের দেশবদলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা দুবাই। নিরাপত্তা, ব্যবসার সুযোগ, কর সুবিধা এবং উন্নত জীবনমান—এই চার কারণেই ধনীরা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি হারে দেশ ছাড়ছেন। বিশ্বের মোট ধনকুবেরদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ অন্তত একবার জন্মভূমি ছেড়ে অন্য দেশে স্থায়ী হয়েছেন।
ধনীদের শীর্ষ গন্তব্যে রয়েছে—দুবাই, সিঙ্গাপুর, লন্ডন ও নিউইয়র্ক। এর মধ্যে দুবাই বিশেষভাবে আকর্ষণ করছে পাকিস্তান, ভারত, ইউরোপ ও এশিয়ার উচ্চ-সম্পদশালী পরিবারগুলোকে। করমুক্ত ব্যবস্থা, স্থিতিশীল সরকার, শক্তিশালী অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক মানের জীবনযাপন—এসব কারণে দুবাই এখন কোটি-কোটি ডলারের মালিকদের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যতের ঠিকানা।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৫ সালে নারী বিলিয়নেয়ারদের সম্পদ বেড়েছে ৮ শতাংশ, যা পুরুষ বিলিয়নেয়ারদের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। প্রযুক্তি, ফিন্যান্স ও নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিই এর প্রধান কারণ।
এ বছর ধনী পরিবারগুলো তাদের উত্তরাধিকারীদের কাছে হস্তান্তর করেছে ২৯৭.৮ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই তাদের নতুন জীবন ও ব্যবসার কেন্দ্র হিসবে আমিরাতকে বেছে নিচ্ছেন। একই বছরে নিজস্ব উদ্যোগে বিলিয়নেয়াররা বৈশ্বিক সম্পদে আরও ৩৮৬.৫ বিলিয়ন ডলার যোগ করেছেন। এই বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় অংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া প্যাসিফিক, মধ্যপ্রাচ্য—বিশেষ করে আমিরাত ও সৌদি আরব থেকে।
ইউবিএস-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বের ধনী পরিবারগুলো পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করবে। এই বিপুল সম্পদ স্থানান্তর আগামী দিনগুলোতে দুবাইকে আরও শক্তিশালী আর্থিক নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: