ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতায় এখর পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের দুটি অংশ গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন তারা।
এছাড়াও একই সময়সীমায় আহত হয়েছেন আরও সাড়ে ২১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার ৯৪৩ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং আরও ২১ হাজার ৬৮১ জন আহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্রের বরাত দিয়ে প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলা চালিয়ে হতাহত করার পাশাপাশি আরও ৫৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে ইসরাইল। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মীর সংখ্যা ৬৩০ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৬৫ জন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের স্থায়ী বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন।
অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে।
গত মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আলোকিত গৌড়/জে.আর
মন্তব্য করুন: