[email protected] রবিবার, ১ জুন ২০২৫
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের তালা, প্রশাসনিক কার্যক্রম-সেবা বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৫, ১৪:০৬

ডিএসসিসির নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় (ছবিঃ সংগৃহীত)

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব দ্রুত বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো নগর ভবন ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তার সমর্থকরা।

রোববার (১৮ মে)  সকাল ৯টা থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমর্থকরা নগর ভবনের সামনে জড়ো হন।

অবস্থানে অংশ নেওয়া সমর্থকরা নগর ভবনের প্রবেশপথে তালা লাগিয়ে দেন, ফলে নগর ভবনের সকল ফটক বন্ধ হয়ে যায়। এতে করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশ করতে না পারায় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

প্রশাসনের উদ্বেগ
এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, “নগর ভবনের ফটকে তালা লাগানোয় আমাদের কার্যক্রম পরিচালনায় মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এতে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।”

সমর্থকদের অবস্থান ও দাবি
নগর ভবনের সামনে অবস্থানকারী ইশরাক সমর্থক জাহিদ হাসান বলেন, “আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী ইশরাক হোসেন বৈধ মেয়র। তা সত্ত্বেও এখনো তাকে শপথ করানো হয়নি। কেন এই গড়িমসি?”

সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ এই অবস্থান থেকে স্লোগান দেন—“ইশরাককে মেয়র মানতে হবে”, “মশামুক্ত ঢাকা চাই, ইশরাক মেয়র চাই।” তাদের দাবি, একটি পরিচ্ছন্ন, দুর্নীতিমুক্ত এবং সুশাসনের ঢাকা গড়তে ইশরাক হোসেনের নেতৃত্ব প্রয়োজন।

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যতদিন ইশরাক হোসেনকে শপথ করানো না হবে, ততদিন আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

আইনি প্রেক্ষাপট
২৭ মার্চ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে রায় দেন। ১৬ এপ্রিল রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করে ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেয় আদালত।

এরপর ২২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন মন্ত্রণালয়ে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয়ের মৌখিক অনুমতি পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে ইসি। পরদিন ২৮ এপ্রিল গেজেট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিষয়টি ফের নির্বাচন কমিশনে পাঠায় আপিলের পরামর্শ দিয়ে।

পরবর্তীতে ইসি জানায়, তারা আপিল করবে না। তবুও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখনো শপথ অনুষ্ঠানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি, যা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ইশরাকের সমর্থকরা।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর