[email protected] রবিবার, ১ জুন ২০২৫
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রোহিঙ্গা সংকটসহ মানবিক খাতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৫, ২১:২৭

সংগৃহিত ছবি

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের মানবিক খাতগুলোতে সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য নরওয়ের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ে সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি স্টিন রেনাতে হোহেইমের সঙ্গে বৈঠকে এ অনুরোধ জানান তিনি।

বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “রোহিঙ্গারা বাস্তব মানুষ, যাদের বাস্তব স্বপ্ন আছে। অনেকেই শিশু বয়সে এসেছে, এখন তারা কিশোর। তারা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে ক্যাম্পে বেড়ে উঠছে। প্রতিদিন নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে। তারা ফিরে যেতে চায়, কিন্তু পারে না। আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই।”

নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারি হোহেইম রোহিঙ্গা সংকটের গুরুত্ব স্বীকার করে বলেন, “এই মানবিক সংকটে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশের ভূমিকাকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করি। আমরা শুধু উন্নয়ন সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আরও বিস্তৃত, গতিশীল অংশীদারত্বে যেতে চাই।”

তিনি বাংলাদেশের প্রতি নরওয়ের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোরের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।

তিনি আরও বলেন, “আপনি নরওয়েতে সুপরিচিত একটি নাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই আপনাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। আপনাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব রয়েছে।”

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নরওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, “সংকটের সময়গুলোতে নরওয়ে সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল। আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় আপনাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।”

বৈঠকে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের প্রসঙ্গও তোলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি জানান, “জুলাইয়ের গণবিপ্লবে বহু প্রাণহানি হয়েছে এবং অর্থনীতিতে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকার বছরে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হতে দিয়েছে। ঋণগুলো যেন উপহার হিসেবে বিবেচিত হতো, আর আমরা পেয়েছি পাহাড়সম বকেয়া বিল।”

তবে তিনি আশাবাদী ভঙ্গিতে বলেন, “এই কঠিন বাস্তবতার মধ্যেও বিশ্বের আস্থা বাংলাদেশের প্রতি বাড়ছে। বিডা সামিটে বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিগুলো—including নরওয়ের কোম্পানিগুলো—বাংলাদেশে এসে আমাদের সম্ভাবনা প্রত্যক্ষ করেছে।”

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. মোশারফ হোসেন।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর