[email protected] বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ভারতীয় জেলেদের উৎপাত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:১২

ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে মা ইলিশ রক্ষায় চলছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ সুযোগে সাগরের আন্তর্জাতিক সীমা পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ভারতীয় জেলেরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এবং মাছ ধরছে বলে অভিযোগ ভিত্তিতে ভারতীয় জেলেদের বাংলাদেশে অবাধে মাছ শিকার বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীদের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে জেলে ও ট্রলার মালিকরা।

 

জানা যায়, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশ উপকূলবর্তী এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চলের ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্ধারণ করা হয়। ‌ এখানেই মূলত বাংলাদেশের জেলেরা মাছ ধরার সুযোগ পায়। কিন্তু জেলে এবং ট্রলার মালিকদের অভিযোগ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুযোগে বাংলাদেশের জলসীমায় রীতিমতো মাছ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে ভারতের জেলেরা। রুপালি ইলিশের বিচরণের বড় ক্ষেত্রগুলো দখল নিচ্ছে তারা।

ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে না পারলে নিষেধাজ্ঞার তেমন সুফল পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানোর দাবি বাংলাদেশী ট্রলার মালিকদের।

বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা জেলে ইদ্রিস গণমাধ্যমকে বলেন, ২২ দিন আমরা মাছ শিকারে যাচ্ছি না। তবে সরকারের কাছে দাবি চাল-ডালের সঙ্গে অল্প কিছু নগদ অর্থ দেওয়ার।

স্থানীয় আরেক জেলে মামুন হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে ছেলে-সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে একটু কষ্ট হলেও মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে মাছ শিকার বন্ধ রেখেছি। তবে বাংলাদেশ অংশে অন্য কোনো দেশের ট্রলার মাছ শিকার করতে যেন না পারে সে দিকে তৎপর থাকার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ অংশে যাতে অন্য দেশের ট্রলার ঢুকতে না পারে সেজন্য নৌবাহিনী কাজ করছে। এ বিষয়ে মৎস্য বিভাগ সচেতন রয়েছে।

খুলনা নৌ অঞ্চলের (জি), এনজিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি, বিএন এরিয়া কমান্ডার, রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক জানান, বাংলাদেশের জলসীমায় কেউ যেন মাছ শিকার করতে না পারে, সে ব্যাপারে তৎপর রয়েছে নৌবাহিনী।

আলোকিত গৌড়/জে.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর