মাদারীপুরের শিবচরে একটি তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিজের নামে না করার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার নিজ কার্যালয়ে নতুন অর্থবছরে মন্ত্রিসভার ১ম বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাব নাকচ করেন বলে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
নিউজ ডেস্ক: মাদারীপুরের শিবচরে একটি তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিজের নামে না করার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার নিজ কার্যালয়ে নতুন অর্থবছরে মন্ত্রিসভার ১ম বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাব নাকচ করেন বলে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
সচিব বলেন, বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি আইন, ২০২৪’-এর খসড়া প্রস্তাব আসে। তখন প্রধানমন্ত্রী নামকরণের বিষয়টি না করার নির্দেশ দেন। এ সময় পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের জন্য একটি কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
সচিব আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বললেন, এটি তাঁর নামে হবে না। তাঁর নাম বাদ দিয়ে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি আইন, ২০২৪ নামে অনুমোদিত হয়েছে। উনি তাঁর নামটা গ্রহণ করেন নাই। এর আগেও নিজের নামে প্রতিষ্ঠান করতে প্রধানমন্ত্রী বারণ করেছিলেন। যেহেতু এটি এই ক্যাটাগরির প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান, সে জন্য মন্ত্রিসভা থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু উনি নিজের নামে প্রতিষ্ঠান করতে সম্মত হননি। উনি তাঁর নামে প্রতিষ্ঠান না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।’
পদ্মা সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি, পিএলসি’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই কোম্পানি গঠন করা হচ্ছে। এই বোর্ডে থাকবেন ১৪ জন।
তাঁরা জনবলকাঠামো ঠিক করবেন। বোর্ডে সেতু বিভাগ, অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন। বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পরিচালনা করছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের নীতিগুলোর সঙ্গে নতুন কিছু নীতি যোগ করা হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা কমবে। সেগুলো মাথায় রেখে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা যেন বাড়ে, রপ্তানিকারকেরা যেন উৎসাহিত হয়, সেগুলো রাখা হয়েছে।
এত দিন সফটওয়্যার রপ্তানির ওপর প্রণোদনা ছিল। প্রধানমন্ত্রী ইলেকট্রনিকস ডিভাইস রপ্তানির ওপরও যেন বিশেষ উৎসাহ দেওয়া হয়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। শাকসবজি রপ্তানিতে আরও মনোযোগী হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
আলোকিত গৌড়/এম.এইচ.টি
মন্তব্য করুন: