বিডিআর সদস্যদের নাকে গরম পানি ও উল্টো করে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক সক দেওয়ার মতো লোমহর্ষক নির্যাতন করা হয়েছে। সেই সাথে কালো আইনের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কারামুক্ত সাবেক সৈনিকরা।
“বিডিআর সদস্যরা বিদ্রোহী নয়, বরং তারা শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন” বলে জানিয়েছেন তারা।
চাল-ডাল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ৫৭ সেনাকর্মকর্তা। এরপরেই শুরু হয় বিডিআর সৈনিক ও অফিসারদের গ্রেফতার। বদলে দেয়া হয় সীমান্ত রক্ষায় দীর্ঘ দিন কাজ করা বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর এর নাম।
সেসব ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন কারা নির্যাতিত বিডিআর সদস্য ও তাদের সন্তানরা।
সাবেক সৈনিকদের অভিযোগ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদের ওপর চালানো হয়েছে নির্যাতন। মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য নির্যাতন চালিয়ে কারাগারে ৪৭ জনকে হত্যা করা হয় বলেও জানান তারা।
বিডিআর আইনে কেউ অপরাধ করলে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও অনেকেই ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি। তাদের দ্রুত জামিনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে পিলখানা হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত ও বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
আলোকিত গৌড়/জে.আর
মন্তব্য করুন: