[email protected] বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর সমন্বয়ে আরেকটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৫, ২৩:৪৫

ছবিঃ আলোকিত গৌড়

অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্ল্যাটফর্মটির নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।

রোববার (১৬ মার্চ) রাতে প্ল্যাটফর্মটির প্রধান উদ্যোক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি এবং জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আলী আহসান জুনায়েদ তার নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এই প্লাটফর্মের কথা জানান। 

এসময় পোস্টের কমেন্টে প্ল্যাটফর্মটিতে যুক্ত হওয়ার জন্য একটি গুগল ফরম সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। নিজের ফেসবুক পোস্টে আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘৩৬ শে জুলাই ফতহে গণভবনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হলেও, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বহু মানুষের কাছে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ, দুর্নীতিমুক্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণ, ধর্মবিদ্বেষ ও ইসলামোফোবিয়ামুক্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন, ফ্যাসিবাদী কাঠামোর সম্পূর্ণ বিলোপ এবং আধিপত্যবাদের বিপক্ষে কার্যকর অবস্থান- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গৌন হয়ে পড়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও সম্মান দেওয়ার কাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে।’ 

‘এই পরিস্থিতিতে, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা গণঅভ্যুত্থানের দাবিগুলো প্রকৃতই বাস্তবায়ন করতে চাই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘৩৬ শে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছে, তা পূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিতকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার মূলোৎপাটন এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে এই বিপ্লব পরিপূর্ণতা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’ 

‘আমরা বিশ্বাস করি, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুনর্গঠন সম্ভব। অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনের এই উদ্যোগে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। আসুন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গঠনের এই সংগ্রামে শামিল হই।’

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর