[email protected] রবিবার, ১ জুন ২০২৫
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফারাক্কা বাঁধ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ২৩:২২

ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামত অগ্রাহ্য করে ভারতকে পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে চালু থাকায় এটি এখন বাংলাদেশের জন্য এক ‘মরণফাঁদে’ পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ‘ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস’ (১৬ মে) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “১৬ মে 'ফারাক্কা দিবস' আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যময় দিন। আজ থেকে ৪৯ বছর আগে, মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে লাখো জনতা গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চে অংশগ্রহণ করে।”

তিনি বলেন, “ভারত গঙ্গার ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার শুরু করে, যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল মরুভূমির মতো রূপ নিচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা সত্ত্বেও তৎকালীন সরকার জনগণের মতামত উপেক্ষা করে ভারতকে বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়।”


মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “মাওলানা ভাসানী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐতিহাসিক মিছিলের মাধ্যমে ভারত সরকারকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরেন। এরপর থেকেই ফারাক্কা বাঁধের প্রভাব নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা শুরু হয়।”


বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ফখরুল বলেন, “আজও ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। ভারত আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণ করে পানি প্রত্যাহার করছে, যা বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে দেশের কৃষি ও পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৭৬ সালের ১৬ মে যে সাহসী পদক্ষেপে জনগণ লংমার্চে অংশ নিয়েছিল, তা আজও আমাদের যেকোনো ন্যায্য অধিকারের আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জোগায়।”

বিএনপি মহাসচিব ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর