[email protected] রবিবার, ১ জুন ২০২৫
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার পরিস্থিতি এখনো লক্ষ্য করা যাচ্ছে না: আবু তাহের

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৫, ১৩:৫৩

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে কথা বলছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ অব্দুল্লাহ মো. তাহের (ছবি-সংগৃহীত)

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের মন্তব্য করেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সঠিক ও সুষ্ঠু হবে—এমন কোনো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হলেও বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক দখলদারিত্বের প্রতিযোগিতা চলছে, যা উদ্বেগজনক।

রবিবার (১৮ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, কিছুদিন আগে পাবনার আটঘরিয়া এলাকায় জামায়াতের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের সহিংসতার প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “এখনো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি দেখে মনে হয় না নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।”


তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী সংস্কার কমিশনের আলোচনায় দলীয় নয়, বরং জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অংশ নিচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা যখনই বুঝতে পারি জাতির কল্যাণে কোনো প্রস্তাব উত্তম, তখন নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করি। কারণ আমাদের লক্ষ্য দলীয় নয়, জাতীয় অর্জন।”


তিনি দেশব্যাপী নানা অস্থিরতার ঘটনাকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “এর পেছনে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা থাকতে পারে।” তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন শক্ত ও সঠিকভাবে এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হয়।


ডা. তাহের বলেন, “নির্বাচন কমিশন অনেক ঘটনায় সঠিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিতে পারছে না।” তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “ভোটের আগেই দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।”


তিনি বলেন, “যদি দরকার হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে শক্ত হতে হবে। সরকারকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। কিছু পদক্ষেপে নিরপেক্ষতার অভাব বা দক্ষতার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে—যা সংশোধন জরুরি।”


নির্বাচনের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট টাইমলাইন না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে তাহের বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে নির্বাচন আয়োজন করা প্রয়োজন।”


বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। সঙ্গে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সাইফুল আলম খান মিলন, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর