সচিবালয়ে চলমান অচলাবস্থা ও আন্দোলন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। সোমবার (২৬ মে) ইসলামী আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চরমোনাই পীর বলেন, “এই মুহূর্তে সচিবালয়ে যা হচ্ছে, তাতে শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সচিবালয়ে যে ধরনের অবরোধ ও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা দেশের জন্য একটি অশনি সংকেত।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সময় সচিবালয়ের অচলাবস্থা পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী শক্তিকে সুযোগ করে দিতে পারে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, যাঁরা সচিবালয় অবরুদ্ধ করেছেন তাঁদের রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই। তথাপি এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নিতে পারে এবং গণঅভ্যুত্থানের সরকার বিপদে পড়তে পারে। জনতা ও ইতিহাস তখন কাউকেই ক্ষমা করবে না।”
চরমোনাই পীর সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সচিবালয় ও সারা দেশের সরকারি অফিস অচল করার কর্মসূচি থেকে সরে এসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করুন। একইসঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেও উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দক্ষতা, যোগ্যতা এবং জবাবদিহিমূলক মানসিকতা রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এ দেশে এসব গুণের ঘাটতি রয়েছে। একবার কেউ সরকারি চাকরিতে ঢুকলে আর তাকে কোনো জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয় না। সাধারণ মানুষ এর ভুক্তভোগী।”
তিনি আরও বলেন, “সচিবালয় অবরুদ্ধ করা রাজনৈতিক কর্মসূচির মতো আচরণ, যা সরকারি চাকরির নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দেশকে বিপদের মুখে ফেলা কোনো কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার জন্য আমি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানাই।”
চরমোনাই পীর তাঁর বক্তব্যে মনে করিয়ে দেন, ১৯৯৬ সালে ফ্যাসিবাদ সচিবালয়কে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছিল। এখন দেশে সংস্কার চলছে, অতএব এমন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত নয় যা সেই অতীতের ভুলকে আবার সামনে নিয়ে আসে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: