ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী রেজাউল করীম চরমোনাই পীর বলেছেন, বর্তমান সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। এটি হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত একটি সরকার, যার মূল দায়িত্ব রাষ্ট্রের আমূল সংস্কার করা এবং দেশকে ভবিষ্যতের সকল স্বৈরাচারের হাত থেকে রক্ষা করা।
রবিবার (১ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সোমবারের বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে রাষ্ট্রসংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু হবে। এই বৈঠকে সংস্কারের অগ্রগতি, রোডম্যাপ এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে, যাতে সকল অস্পষ্টতা দূর হয়।
চরমোনাই পীর বলেন, সরকার গঠনের প্রায় দশ মাস পেরিয়ে গেলেও রাষ্ট্রসংস্কার এখনো দৃশ্যমান ও সুসংহত হয়নি। অথচ এই সংস্কারের ওপরই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু নির্বাচন পদ্ধতি, সংসদীয় আসন সংখ্যা এবং সংসদ ভবনের কক্ষ সংখ্যার মতো মৌলিক বিষয়গুলোতে এখনো কোনো ঐকমত্য হয়নি। নির্বাচন কমিশনও আগের মতোই গঠন করা হয়েছে। এসব কারণে সংস্কার নিয়ে হতাশা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীকালের বৈঠকে সংস্কারের একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিযোগিতামূলক না হয়ে বিরোধীতামূলক হয়ে উঠেছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঐক্য গড়ে ওঠা কঠিন। গত বছরের জুলাই মাসে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, তা এখন দ্রুতই ভেঙে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই রাষ্ট্রসংস্কারের কাজে বিলম্ব হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। এজন্য দ্রুত সংস্কার কাজ এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। আগামীকালের বৈঠকে সংস্কার সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ও দ্বিধামুক্ত দিকনির্দেশনা দেওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আলোকিত গৌড়/এম.আর
মন্তব্য করুন: