[email protected] রবিবার, ১ জুন ২০২৫
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

উপুড় হয়ে শোয়া প্রসঙ্গে রাসূল (সা:) যা বলেছেন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৫, ০০:০৯

ছবি: সংগৃহীত

মানুষের আরামের জন্য আল্লাহ তায়ালা ঘুম দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে আবরণ ও নিদ্রাকে আরামপ্রদ করেছেন এবং দিনকে করেছেন জাগ্রত থাকার সময়। সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৪৭

তবে ঘুমানোর সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপুর হয়ে শোয়া নিষেধ করেছেন। এর কারণ হিসেবে হাদিস শরিফে দুটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক. মহান আল্লাহ এভাবে শোয়া পছন্দ করেন না। দুই. এটি জাহান্নামিদের শোয়া।

একটি হাদিস থেকে পাওয়া যায়,

ইবনে তিখফা আল-গিফারী (রহ.) থেকে বর্ণিত, তাঁর পিতা তাঁকে অবহিত করেন যে তিনি ছিলেন আসহাবে সুফফার সদস্য। তিনি বলেন, একদা শেষরাতে আমি মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। আমি উপুড় হয়ে ঘুমে বিভোর অবস্থায়, তখন একজন আগন্তুক আমার কাছে এলেন। তিনি আমাকে তাঁর পায়ের সাহায্যে নাড়া দিয়ে বলেন, ওঠো! এভাবে উপুড় হয়ে শুলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।

’ আমি মাথা তুলে দেখি রাসুল (সা.) আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে। (আদবুল মুফরাদ, হাদিস : ১১৯৯)

 

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় নবী (সা.) আমার পাশ দিয়ে গেলেন। তিনি আমাকে তাঁর পা দ্বারা খোঁচা মেরে বলেন, হে জুনাইদিব! এটা তো জাহান্নামের শয়ন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৭২৪)

রাসুল ( সা.)-এর বাণী ‘এটা তো জাহান্নামের শয়ন’-এর পক্ষে পবিত্র কোরআনের আয়াতও পাওয়া যায়।

পবিত্র কোরআনে জাহান্নামিদের ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘যেদিন তাদের উপুড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে; সেদিন বলা হবে, জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন কর।’ (সুরা : কমার, আয়াত : ৪৮)

অতএব, আমাদের উচিত, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সা.) যেভাবে শোয়া পছন্দ করেন না, সেভাবে শোয়া থেকে বিরত থাকা। তবে মনে রাখতে হবে, ইসলাম এই পদ্ধতিরে শোয়াকে হারাম করেনি। তবু যদি আমরা নবীজি (সা.)-কে অনুসরণ করে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা থেকে বিরত থাকতে পারি, তবে ইনশাআল্লাহ এতে আমাদের দুনিয়া, আখিরাত উভয় জাহানেরই কল্যাণ হবে। যদি কারো কোনো অসুস্থতার কারণে কিংবা অন্য কোনো সমস্যায় উপুড় হড়ে শোয়ার একান্ত প্রয়োজন হয়, তা ভিন্ন কথা।

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আলোকিত গৌড়/এম.এইচ.টি

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর