[email protected] রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

স্বামী-স্ত্রীকে তাহাজ্জুদে জাগালে বর্ষিত হয় আল্লাহর দয়া

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:০২

ফাইল ছবি

তাহাজ্জুদের নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদতগুলোর মধ্যে অন্যতম। যারা রাত জেগে আল্লাহর সামনে দাঁড়ায় এবং তাঁর ইবাদতে নিজেদের নিয়োজিত রাখে, তাদের প্রতি বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়—এ কথা কোরআন-হাদিসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। বিশেষ করে যে ব্যক্তি নিজে তাহাজ্জুদ পড়ে এবং স্ত্রীকে এ ইবাদতে উৎসাহিত করে, কিংবা স্ত্রী স্বামীকে জাগিয়ে দেয়—তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ ও দয়া।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—আল্লাহর প্রিয় বান্দারা তারা, “যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সেজদা করে ও দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।” (সুরা ফুরকান, আয়াত: ৬৩-৬৪)

আরেক আয়াতে মহান আল্লাহ নির্দেশ দেন, “রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের নামাজ কায়েম করুন; এটি আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদে।” (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত: ৭৯)

হাদিসে আসে, ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ হলো রাতের নামাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হল আল্লাহর মাস মহররমের রোজা এবং ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো তাহাজ্জুদ।” (মুসলিম, হাদিস: ১১৬৩)

দম্পতির তাহাজ্জুদ আদায়ে উৎসাহকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে নবিজি (সা.) বলেন—“আল্লাহ সেই পুরুষকে রহমত করুন, যে রাতে নামাজের জন্য জাগে এবং তার স্ত্রীকে জাগায়। আর স্ত্রী যদি দেরি করে তবে তার মুখে পানি ছিটায়। একইভাবে আল্লাহ সেই মহিলাকেও রহমত করুন, যে রাতে নামাজের জন্য জাগে এবং স্বামীকে জাগায়।” (আবু দাউদ, হাদিস: ১৩০৮; ইবন মাজাহ, হাদিস: ১৩৩৬)

অন্য হাদিসে এসেছে, “যদি কোনো দম্পতি রাতে জেগে দু’রিকাত নামাজ আদায় করে, তবে তাদেরকে আল্লাহর কাছে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও নারী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।” (আবু দাউদ, হাদিস: ১৩০৯; ইবন মাজাহ, হাদিস: ১৩৩৫)

ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতে, দাম্পত্য জীবনে আধ্যাত্মিকতা ও নেক আমলের পরিবেশ সৃষ্টি করতে তাহাজ্জুদ নামাজ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য দম্পতিদের এ ইবাদতে অভ্যস্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর