[email protected] মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
৩ আষাঢ় ১৪৩২

মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের কারনে ব্যাক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ আগষ্ট ২০২৪, ১০:৩৩

ফাইল ছবি

যৌন সংসর্গ ছাড়াও শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমেও এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক-পরিচ্ছদ থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে ।

খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়াই মাঙ্কি পক্স নিয়ে গোটা বিশ্বে জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

বুধবার সংস্থার পক্ষ থেকে ওই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল হু।

কী এই মাঙ্কি পক্স? সংক্রমিতই বা হয় কী ভাবে?

৮০এর দশকে প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মেলে। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে (রেন ফরেস্ট)। চিকেন পক্সের মতো পক্সের ক্ষেত্রে কেবল গায়ে র‌্যাশ কিংবা ফুসকুড়ি বেরোয়। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে এই রোগে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। যৌন সংসর্গ ছাড়াও শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমেও এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক-পরিচ্ছদ থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে ।

চলতি বছরের মে মাস থেকেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ। হু-র পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে শুধু আফ্রিকাতেই ১৪ হাজারেও বেশি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৫২৪ জনের।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর